বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সাংবাদিকদের জন্য সব সময় আন্তরিক। তিনি বলেন, অবসর ভাতা আওয়তায় আনতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজ ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক ও বার্ষিক সাধারণ ডিআরইউ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সমিতির সভাপতি এস এম আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কাল্ব)-এর চেয়ারম্যান এবং দি মেট্রোপলিটন খ্রীষ্টান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীপিকেশন উপস্থিত ছিলেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল এবং ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথির এম আব্দুল্লাহ আরো বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পেশাদার দায়িত্ব পালনকালে যারা মামলার স্বীকার হবেন তাদের ব্যাপারে কল্যাণ ট্রাস্ট আইনগত সহায়তায় প্রদানে একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া সরকারের কাছে অস্বচ্ছল সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও প্রস্তাব দিয়েছে। উনি সার্বক্ষনিক সাংবাদিকদের পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি ব্যর্তয় করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আগষ্টিন পিউরীপিকেশন বলেন, সমবায় ছোট একটি শব্দ। কিন্তু এর তাৎপর্য অনেক বেশি। বিশ্বাস, আস্থা এবং দৃশ্যপটে মাধ্যমে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে আনা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির অনেক কিছু পরিবর্তন এবং সাফল্যজনক অনেক কিছু করা সম্ভব। ১৯৭৭ সালে জন্ম নেয়া দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের ব্যখ্যা টানতে গিয়ে বলেন, ছোট আকারে শুরু হলেও সমবায়ী চিন্তা-ধারায় বর্তমানে দেশের ৬৩টি জেলায় এর কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এবং বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা দশ লক্ষ সদস্য। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবনের মানউন্নয়নে ভূমিকাও রাখছে। তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সভাপতি এস এম আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক বদরুল আলম চৌধুরীর সম্পাদনায় সমিতির কর্ম অধিবেশন শুরু হয়। সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের বার্ষিক প্রতিবেদনের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন ১৪ জন।